কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

চলতি বছরেই ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে কক্সবাজারে

আসছে জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে যে কোন সময় চালু হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন চলাচল। প্রকল্পের পরিচালক জানান, এর মধ্যে দিয়ে রেল যোগাযোগে যুক্ত হবে সৈকতের শহর।

তিনি জানান, সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যখন ট্রেনের শব্দ ও হুইসেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙবে কক্সবাজারের মানুষের। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে দ্রুত।

কক্সবাজার সমুদ্র। আর সমুদ্রের অন্যতম প্রতীক হচ্ছে শামুক। তাই কক্সবাজারে রেলষ্টেশন তৈরি হচ্ছে শামুকের আদলে।

চারতলা ভবনের নিচতলায় টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা, লকারসহ নানা সুবিধা। দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় শপিংমল, রেস্তোরাঁ ও কর্মকর্তাদের আবাসন। তিন তলায় তারকা মানের হোটেল।

এরিমধ্যে রেলস্টেশন তৈরির ৭০ ভাগ কাজই শেষ হয়ে গেছে। বাকি তিরিশ শতাংশ কাজ হলেই ভেসে উঠবে রেলস্টেশন।

চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন আছে আগে থেকেই। নতুন স্থাপন হচ্ছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ।

এই পথে থাকছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার, হাইওয়ে ক্রসিং এবং হাতিসহ বন্যপ্রাণীর চলাচলের জন্য ওভারপাস ও আন্ডারপাস।

এসবের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আহমেদ শফি বলেন, ৫০ শতাংশ কাজ এখন দৃশ্যমান।

কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, শুধু পর্যটনই নয়, আন্তর্জাতিক করিডোরে পরিণত হবে এই রেলপথ।

রেল চালু হলে স্বল্প সময়ে ও কম খরচে কৃষিপণ্য, মাছ, লবণ পরিবহন করা যাবে। এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষণ বলছেন, সব কিছু ঠিকঠাক মতো চললে চলতি বছরের জুনে থেকে অক্টোবরের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।

সৈকতের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ সহজ করতে ৱদোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প ২০১৬ সালে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সরকার।

গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঠকের মতামত: